বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলো মৃত্যু ফাঁদ, ঘটছে দুর্ঘটনা
জান্নাতীন নাঈম জীবন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি
অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানা কাজ চলছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি)। এসব কাজের কারণে নানা ধরনের নির্মাণ পণ্য পরিবহনের প্রয়োজন হচ্ছে। আর এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ প্রধান প্রধান সড়কে সৃষ্টি হয়েছে নানা খানাখন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ সব সড়কগুলো পরিণত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রধান প্রধান সড়ক নানা খানাখন্দে ভরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, এম. কেরামত আলী হল পর্যন্ত যাওয়ার একমাত্র সড়ক মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
পবিপ্রবিতে একাডেমিক ভবন, শিক্ষক কোয়ার্টার, হলসহ একাধিক ভবনের নির্মাণা কাজ চলমান আছে। নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী বড় যানবাহনের ফলে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ইট, পিচ উঠে গেছে এবং গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা এসব রাস্তায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
পবিপ্রবি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রধান দুটি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও এম. কেরামত আলী হল। দুটি হলে প্রায় দেড় হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করে। হল দুটির অবস্থান মূল ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৮০০ মিটার দূরে। যার মধ্যে রয়েছে একটি বাজার। বাজারের অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং বাজার পার হয়ে যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাস্তাটি এতটাই ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ যে পায়ে হেঁটে গেলও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তাটিতে রিকশা পর্যন্ত যায় না। রাস্তায় পানি জমে থাকে যার দরুণ জুতা খুলে রাস্তা চলতে হয়।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের এম. কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। যখন ভাইভা, প্রেজেন্টেশন থাকে তখন খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। যাওয়ার পথেই পোষাক নষ্ট হয়ে যায়।
নিউট্রিশন এন্ড ফুড সাইন্স অনুষদের শিক্ষার্থী আরাফ বলেন, একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। কারো হাত ভাঙছে, কারো পায়ে আঘাত লাগছে, কারো মাথা ফাটছে কিন্তু কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার দরকার।
২০১৯-২০২০ সেশনের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান আছে, রাস্তাটির জন্য বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। এটি আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা হবে কিন্তু কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু করা কঠিন। তবে সংস্কার বারবারই করা হচ্ছে।
What's Your Reaction?