নড়াইলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দু’জন রিমান্ডে
ফরহাদ খান, নড়াইল
নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের প্রাইভেটকার পোড়ানো ও চাঁদাবাজি মামলায় সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ (৩৭) এবং তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাকের (৩৯) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার সদর আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই মেহেদী আদালতে তাদের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড চায়লে আদালত তা দুইদিনের জন্য মঞ্জুর করেন। উজ্জ্বল স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত নেতা বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২১ মে অনুষ্ঠিত নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে ২ জুন রাত ১২টার দিকে সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামে নিউটন গাজীর (৩৮) প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দেয় সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ লোকজন। গাড়ি পোড়ানোর পাশাপাশি নিউটনের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ প্রায় এক ভরি স্বর্ণালংকার এবং প্রায় এক লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নিউটন গাজীর বয়োবৃদ্ধ বাবা আবুল হোসেন গাজী (৭০), স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৫), শিশুপুত্র সাব্বির গাজী (১০) ও ছয়মাস বয়সী আরাব এবং প্রতিবেশি মোহাম্মদ লিটনকে (৪২) মারপিট করে আহত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উজ্জ্বল শেখকে প্রধান আসামি করে ৩ জুন সদর থানায় ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নিউটন গাজী। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। মামলার পরদিন উজ্জ্বল শেখ ও আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে কাজ করায় নিউটন গাজীর প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগসহ বাড়িঘরে এ হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রতিবেশি মোহাম্মদ লিটনের বাড়িতেও হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফানের পক্ষে কাজ করেন।
এদিকে, উজ্জ্বল শেখের মুক্তির দাবিতে সোমবার আদালত চত্বরে এবং রোববার গোবরা চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তার সমর্থকরা।
তারা বলেন, উজ্জ্বল শেখের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা উজ্জ্বল শেখের মুক্তি চাই।
What's Your Reaction?