"শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে"

ময়মনসিংহ, ১৪ সেপ্টেম্বর (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, 'দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেএখন পজিটিভ একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন বলা হয়, পরিবর্তনই হলো একমাত্র স্থির। নেতৃত্ব, প্রযুক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ক জ্ঞান এখন অনেক প্রয়োজন। তরুণরা দেশ নিয়ে কি ভাবছেন, দেশকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বকে পরিবর্তনের জন্য তারা কেমন চিন্তাভাবনা রাখছেন সেটি যেন তারা প্রকাশ করতে পারে সেকারণে আমরা দেশব্যাপী একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। তরুণদের মধ্যে এই দক্ষতাগুলো আনয়নের জন্যই এই আয়োজন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের জন্যই উপকারী হবে। আজকের এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটি আমাদের সময় করা সম্ভব ছিলো না।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর বাকৃবি অংশের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে প্রতিযোগিতার সমাপনী পর্ব ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম 'আইডিআরওএফ'। ফার্স্ট রানার আপ টিম 'ডেল্টা ২১০০' এবং সেকেন্ড রানার আপ টিম 'বিএইউ-নোভা'। এসময় বিজয়ীদের হাতে মেডেল, সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
'যুব উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন। এ বছরের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মূল বিষয়বস্তু ছিলো- 'কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ : বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।
অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্বের জন্য বাছাই হওয়া পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে সেরা নীতিপত্র উপস্থাপনকারী তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে প্রতিযোগিতার ১ম পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২টি অংশগ্রহণকারী দল থেকে ৯টি দলকে বাছাই করা হয়। পরের ধাপে নয়টি থেকে পাঁচটি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য বাছাই হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় এসেছিলো। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং আমি তাদেরকে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। আমি এই তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় সু্যোগ বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করি যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং বৈশ্বিক দরবারে ভূমিকা রাখতে পারে।'
What's Your Reaction?






