অবশেষে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা

মো: সাখাওয়াৎ হোসেন (সাখাওয়াৎ লিটন)
এক সপ্তাহ ধরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আর একে-অপরের সামরিক স্থাপনায় হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে অবশেষে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিলো দেশ দুটি।
শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার তার এক টুইট বার্তায় বলেন, 'পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে।' পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিও নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইসহাক দার বলেন, “যুদ্ধ কোনো কিছুর জন্যই সমাধান নয়। আজ বিকাল সাড়ে চারটা থেকে (পাকিস্তানের সময়) যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়েছে।”
তিনি তার টুইট বার্তায় আরো লিখেন, “এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সবসময়েই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কখনোই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আপোস করেনি।”
এর কিছু আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স প্ল্যাটফর্মে দেয়া তার একটি বার্তায় জানান, ভারত ও পাকিস্তান-দুই দেশ যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত।
এদিকে, শনিবার বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করার কথা জানিয়েছে ভারত। দেশটি ঘোষণা করে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সবধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয় আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সবধরনের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।"
দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই ডিজি এমও আবার ১২ তারিখ, সোমবার দুপুর ১২টার সময়ে কথা বলবেন বলে জানান মিশ্রি।
এর আগে, নিজের ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতব্যাপী দীর্ঘ আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ জ্ঞান এবং দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!'
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান “তাৎক্ষণিক যুদ্ধ বিরতিতে এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “শান্তির পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদী (নরেন্দ্র মোদী) এবং শরিফের (শাহবাজ শরিফ) প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও রাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করি।”
What's Your Reaction?






