‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে‘

Aug 10, 2025 - 20:01
 0  5
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে‘
ছবিঃ প্রতিনিধি/ওভি

ময়মনসিংহ, আগস্ট (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, এক বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলে-মিশে কাজ করতে হবে। শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের চিন্তাভাবনাকে সম্মানের সাথে দেখা এবং ছাত্র মর্যাদার জায়গাকে সচেষ্ট রাখা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতিতাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন তোমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রাখবে, এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের দ্বিতীয় পরিবার, আর এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা তোমাদের পরিবারের সদস্য।

বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন। এছাড়াও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও শাখার পরিচালক, অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, নবীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এ সময় উপস্থিত ছিলেন

নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবাগত ১ হাজার ১১৬ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই এবং রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ১১ আগস্ট থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে। এছাড়াও ১০ আগস্ট বিভিন্ন অনুষদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হ

এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো মানুষের সংস্পর্শে ভালো হতে পারো, আবার খারাপও হতে পারো। জুলাই-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি যেন বাকৃবিতে আর ফিরে না আসে, সেজন্য শিক্ষার্থীদের সজাগ ও দেশপ্রেমিক হতে হবে। এখন থেকে প্রতি সেমিস্টারে তোমাদের ফলাফল ও উপস্থিতি অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে, যাতে তারা জানতে পারেন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী করছে। দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আসলেও তা অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অবদান অপরিসীম। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাচ্ছে। এখন উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের কাছ থেকে মেসেজের উত্তর আসতে ২৪ ঘণ্টাও লাগে না।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online