দেশে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থানে রুয়েট

রাজশাহী, ১৪ জুন (বিশেষ প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ইম্প্যাক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৪-এ বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম এবং সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ র্যাঙ্কিংটি সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) এর ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের টিএইচই ইম্প্যাক্ট র্যাঙ্কিং জাতিসংঘের ১৭টি এসডিজি-এর উপর ভিত্তি করে প্রকাশ পাওয়া একটি মূল্যায়ন, যা দারিদ্র্য, অসমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত অবনতি এবং শান্তি ও ন্যায্যবিচারের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।
রুয়েট এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে ৬০১-৮০০ এর মধ্যে অবস্থান নিশ্চিত করেছে। জাতীয়ভাবে রুয়েট ৫ম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম স্থান অর্জনের গৌরব নিশ্চিত করেছে। এই স্বীকৃতি আমাদের টেকসই উন্নয়ন এবং উচ্চ শিক্ষায় উৎকর্ষতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। এটি মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত থেকে সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
রুয়েট বেশ কয়েকটি লক্ষ্যমাত্রায় অসাধারণ কর্মক্ষমতা প্রদর্শন করে উচ্চ স্কোর এবং চিত্তাকর্ষক বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং অর্জন করেছে। লক্ষ্যমাত্রা ৪: মানসম্মত শিক্ষায়, রুয়েট ৬৯.৩-৭৪.৭ স্কোর অর্জন করেছে, যা বৈশ্বিকভাবে রুয়েটকে ১০১-২০০ র্যাঙ্কে স্থাপন করেছে। লক্ষ্যমাত্রা ৮: মর্যাদাপূর্ণ কাজ এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা ৬৫.২-৬৯.২ স্কোর অর্জন করেছে, যা রুয়েট ২০১-৩০০ পরিসরের মধ্যে র্যাঙ্ক অর্জন করেছে। এছাড়াও, লক্ষ্যমাত্রা ২: ক্ষুধার অবসানে প্রতিশ্রুতিতে ৫৪.৪-৬১.৫ স্কোর অর্জন করেছে, যা রুয়েটকে বৈশ্বিকভাবে ২০১-৩০০ ব্র্যাকেটে স্থাপন করেছে। এছাড়াও লক্ষ্যমাত্রা ১: দারিদ্র্য বিমোচনে রুয়েট বৈশ্বিকভাবে ৩০১-৪০০ ব্র্যাকেটের মধ্যে র্যাঙ্ক করেছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই অর্জনগুলি রুয়েটকে একটি ইতিবাচক এবং স্থায়ী প্রভাব তৈরির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। রুয়েটের এই সাফল্য এখানকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার ফল।
তিনি এমন গৌরবময় র্যাঙ্কিং অর্জন করায় রুয়েট পরিবারের প্রতি তাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং অবদানের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি উৎকর্ষতা এবং উদ্ভাবনের পথে রুয়েটের যাত্রা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর লক্ষ্য অর্জনের অপেক্ষায় রয়েছি বলে জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






