ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে হাঁড়ি পাতিল বিক্ষোভ

ডঃ আনসার আহমেদ উল্লাহ
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিশ্ববাসী ফিলিস্তিনি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের কঙ্কালের ভয়াবহ চিত্র দেখেছে, ক্লান্ত মানুষ খালি হাঁড়ি-পাতিল ধরে অপেক্ষা করছে, এবং নিষ্ঠুরভাবে, প্রায়শই এইভাবে তাদের মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ইসরায়েলি সৈন্যরা প্রায় ১,০০০ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই ছবিগুলো ব্রিটিশ সরকারের প্রতিটি সদস্য দেখেছেন। তবুও তারা ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাচ্ছেন।
শুক্রবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন আয়োজিত জরুরি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মানুষ ডাউনিং স্ট্রিটে হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে জড়ো হয়েছিল কেয়ার স্টারমারের সদর দরজায়, খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে স্মরণ করার জন্য।
বিক্ষোভকারীরা হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়ার’ অভিযোগ আনেন। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করেন।
সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে, স্থানীয় এলাকায় একই ধরণের বিক্ষোভের জন্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইসরায়েলের গণহত্যায় ব্রিটেনের জড়িত থাকার অবসান ঘটানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ‘বেঙালিস ফর প্যালেস্টাইন’ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন জালাল রাজন উদ্দিন, আকিকুর রহমান, নূরউদ্দিন আহমেদ, সয়ফুল আলম, শফিক আহমেদ, ফকর কামাল, জয়নাল চৌধুরী, জামিল ইকবাল, আব্দুল সালাম শেখ, সানা মিয়া এবং রফিক উল্লাহ প্রমুখ, যারা ইসরায়েলের গণহত্যায় ব্রিটেনের জড়িত থাকার অবসানের দাবি জানান।
What's Your Reaction?






