বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সাংবাদিক হয়রানী বন্ধের দাবি

ডঃ আনসার আহমেদ উল্লাহ
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন, গ্রেফতার, মিথ্যা হত্যা মামলা, ব্যাংক হিসাব জব্দ করা সহ নানা ধরণের হয়রানী সহ সর্বশেষ দীপ্ত টিভি বন্ধ ঘোষণা ও সাংবাদিকদের চাকরীচ্যুত করে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ ও সাংবাদিক হয়রানীর প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজনে করেন যুক্তরাজ্যের বাংলা গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে বিলেতের সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা সমবেত হন।
শনিবার ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম দিবসে পূর্ব লন্ডনে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের গণ-গ্রেফতার, হামলা-মামলা, নিপীড়নের প্রতিবাদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা আবু মূসা হাসানের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক জুয়েল রাজের পরিচালনায় সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হত্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে, জামিন ও দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিকের নামে মামলা হওয়ায় শঙ্কিত আছেন সাংবাদিকরা। গ্রেফতার সাংবাদিকদের মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। সর্বশেষ দীপ্ত টিভির নিউজের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে, সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।
সাংবাদিকের কাজই প্রশ্ন করা, সেই প্রশ্ন উত্থাপনের জন্য কোন প্রতিষ্ঠান তার কর্মীকে চাকরী থেকে ছাঁটাই করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। বাংলাদেশে গত ৮ মাসে ২৯৬ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা, ৫০টি মিডিয়া ও প্রেস অফিসে হামলা, ৬০০ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, ৬ জন সাংবাদিক নিহত, ১৮ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার, শতাধিক সাংবাদিক আহত হয়েছেন, সহস্রাধিক সাংবাদিককে বরখাস্ত/পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, ৯৬ জন সাংবাদিকের আর্থিক বিবরণী চাওয়া হয়েছে, ১৬৮ জন সাংবাদিকের প্রেস স্বীকৃতি বাতিল, ১৮ জন সাংবাদিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, ৮৩ জন সাংবাদিকের প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ মিডিয়া হাউসের মালিকানা জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া সহ নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বক্তারা বলেন, ড. ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিলেও সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি বরং নির্যাতন বেড়েছে। তাই সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, আহাদ চৌধুরী বাবু, শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, নুরুন্নবী আলী, সোহাগ যাদু, নিশিথ সরকার মিটু, এম রহমান ওলী, মানবাধিকার কর্মী কাউন্সিলার পুস্পিতা, ছাব্বিশে টিভির আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সিলেটের ডাকের সাবেক সম্পাদক সৈয়দ এনামুল ইসলাম, রিপোর্টার্স ইউনিটির জামাল খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, জুবায়ের আহমদ, মুন্না মিয়া, সুয়েজ মিয়া, অভিষেক শেখর জিকু, ছামিয়া আক্তার সৌরভী, সাহিদা আক্তার প্রমুখ৷
What's Your Reaction?






