হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিএনপি নেতা জহিরুল

ফরহাদ খান, নড়াইল
১৬ বছর পর দেশে ফিরে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন আমেরিকার টেক্সাস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম।
প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। সোমবার দিনব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতায় জহিরকে বরণ নেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের কারণে দেশত্যাগ করে আমেরিকা চলে যান তিনি। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী গ্রামের সন্তান জহিরুল ইসলামকে নড়াইল চৌরাস্তাস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ নিজ গ্রামে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এর আগে লোহাগড়ার মধুমতি সেতু থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে জহিরুলকে নড়াইলে নিয়ে আসা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জুলফিকার আলী মন্ডল, পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ উদ্দীন আনসারী, জেলা যুবদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ, পেড়লী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জেষ্ঠ প্রভাষক আলমগীর হোসেন, বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম, পেড়লী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জামির হোসেন মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত শেখ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইস্রাফিল জোয়ার্দ্দার, কালিয়া উপজেলা যুবদল নেতা বাবুল জোয়ার্দ্দার, ৭নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ৮নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার শেখসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
টেক্সাস বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে আমি ১৬ বছর দেশে আসতে পারিনি। এর আগে দেশে থাকা অবস্থায় হামলা, মামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ কারণে দেশত্যাগে বাধ্য হই। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমি আজ দেশে আসতে পেরেছি। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাবো ইন-শা-আল্লাহ।
What's Your Reaction?






