নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৫, লুটপাটের অভিযোগ
নড়াইল, ০৩ জুন (জেলা প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জের ধরে সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামে নিউটন গাজীর (৩৮) প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
রোববার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গাড়ি পোড়ানোর পাশাপাশি নিউটনের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ প্রায় এক ভরি স্বর্ণালংকার এবং প্রায় এক লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া নিউটন গাজীর বয়োবৃদ্ধ বাবা আবুল হোসেন গাজী (৭০), স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৫), শিশুপুত্র সাব্বির গাজী (১০) ও ছয়মাস বয়সী আরাব এবং প্রতিবেশি মোহাম্মদ লিটনকে (৪২) মারপিট করে আহত করা হয়েছে।
সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ৫০-৬০ জন লোক প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
২১ মে অনুষ্ঠিত নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের বিজয়ী প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়ার পক্ষে কাজ করায় নিউটন গাজীর প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগসহ বাড়িঘরে এ হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশি মোহাম্মদ লিটনের বাড়িতেও হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। তবে লিটনের বাড়ির গেট ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে জানালা ও বাইরের লাইট ভাঙচুর করা হয়। সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ তুফানের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে আজিজুর রহমান ভূঁইয়া বিজয়ী হন।
ভুক্তভোগী নিউটনের স্ত্রী নাসরিন জানান, রোববার রাত ১২টার পর সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখের নেতৃত্বে রাজু বিশ্বাস, রিপন শেখ, মিটুল শেখ, টুটুল শেখ, সামাদ, সোহাগ, অয়ন শেখ, ইমন, জাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ, রবিউল, পিয়াসসহ ৫০-৬০ জন লোক তাদের প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ করে ভস্মিভূত করেছে। এ সময় নিউটন গাজী বাড়িতে ছিলেন না।
এদিকে, উজ্জ্বল শেখের নেতৃত্বে গোবরা বাজারে দোকানপাট এবং এলাকার জমি জোরপূর্বক দখলসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সিংগাশোলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ বলেন, আমি এলাকার বাইরে আছি। ঘটনার সঙ্গে আমি এবং আমার লোকজন জড়িত নয়। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
What's Your Reaction?