পালিয়ে গেছেন বাকৃবি উপাচার্য, প্রশাসন ও ছাত্রলীগ নেতারা

Aug 6, 2024 - 04:50
 0  59
পালিয়ে গেছেন বাকৃবি উপাচার্য, প্রশাসন ও ছাত্রলীগ নেতারা
ছবিঃ প্রতিনিধি/ওভি

ময়মনসিংহ, ০৫ আগস্ট (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবি অর্জিত হয়েছে ৫ আগস্ট, সোমবার।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরপরই ক্যাম্পাস থেকে পালিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরীকে তাঁর বাসভবনের পেছনের দেয়াল ভেঙে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে নিরাপদে পালিয়ে যাবার খবর পাওয়া যায়। উপাচার্য যাওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে। বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ, উচ্চ শিক্ষা কো-অর্ডিনেটর, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রক্টরও গা ঢাকা দিয়েছেন।

প্রশাসনের অনুপস্থিতির সুযোগে বিকেল থেকেই হলে এসে লুটপাট ও ভাংচুর শুরু করেছে আশেপাশের এলাকাবাসী। সংকটকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার কথা না ভেবে ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ায় প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য উপাচার্যের কার্যালয়ে আলোচনায় বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সোনালী দলের শিক্ষকবৃন্দ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পর থেকে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালাতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে আশেপাশের এলাকাবাসী ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ ভাংচুর করে। এসময় তারা আবাসিক হলগুলোতে ভাংচুর, লুটপাট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এবং প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের আবাসন ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে প্রক্টরের আবাসনে আগুন দে তারা এবং টাকা-পয়সা ও গহনা লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরও জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাবাসী উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করলে ওই বাসভবনের পশ্চিম পাশের দেওয়াল ভেঙে উপাচার্যসহ প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা দ্বারা নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এমতাবস্থায় আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তা চান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি করছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমার বাসায় ভাংচুর হয়েছে। আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। আমার পরিবারের মানুষগুলোর কি দোষ সেটিও জানতে চাই। এসময় তিনি পদত্যাগ করবেন এবং কোন দায় নিবেন না বলেও জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে সাইকেল, মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করেছে বহিরাগতরা। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে ভাংচুর করে তারা। ভাংচুর করা হয় ছাত্রলীগের অফিসও। বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড়ে বিজয়োল্লাসও করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online