দ্বৈত নাগরিক প্রবাসীদের প্রার্থিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা
আনসার আহমেদ উল্লাহ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে দ্বৈত নাগরিকত্বধারী। কেউ কেউ রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক মনোনয়নও পেয়েছেন। তবে সংবিধান ও নির্বাচনী আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁদের প্রার্থিতা নিয়ে আইনি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সংবিধানের ৬৬(২)(গ) ধারা অনুযায়ী, কোন বাংলাদেশি যদি বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন, তবে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য নন। একইভাবে ১৯৭২ সালের নির্বাচন পরিচালনা অধ্যাদেশেও (আরপিও) বিদেশি নাগরিকত্বধারীদের প্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধ।
গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী—শামীম হক (ফরিদপুর-৩) ও শাম্মী আহমদ (বরিশাল-৪)—এর প্রার্থিতা দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বাতিল হয়েছিল। শামীম হক নেদারল্যান্ডসের এবং শাম্মী আহমদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবই হবে, আমরা আর গ্যালারিতে বসে থাকব না, এখন থেকে নিজেরাই খেলব।’ সে সময় প্রবাসীরা দ্বৈত নাগরিকদের প্রার্থিতা বিষয়ে পরিষ্কার আইনি বিধান করার দাবি জানান। তবে এখনও কোন আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব ও নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে নীতি ভিন্ন। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে দ্বৈত নাগরিকদের প্রার্থী হওয়া নিষিদ্ধ, ইউরোপের কিছু দেশে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন রয়েছে।
সেন্টার ফর এনআরবি সভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই দ্বৈত নাগরিক প্রার্থীদের বিষয়ে স্পষ্ট আইনি নির্দেশনা প্রয়োজন। তা না হলে প্রবাসীরা অযথা আইনি ঝুঁকিতে পড়বেন।’
What's Your Reaction?

