‘স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের উপলব্ধি ও হৃদয়ে ধারণ করতে হবে‘
জান্নাতীন নাঈম জীবন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্বাধীনতা চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
দিবসটি পালন উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ও ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা পাদদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট কাউন্সিল, শিক্ষক সমিতি, পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, পবিপ্রবি ছাত্রলীগ, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর পবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে স্বাধীনতা দিবসের র্যালী বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পবিপ্রবি পরিচালিত সৃজনী বিদ্যানিকেতনে শিশু কিশোরদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ বি এম মাহবুব মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদদের আত্মত্যাগ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতা শব্দটি আমাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে, দেশকে ভালবাসতে হবে, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে মূল্যায়ণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের সবাইকে সামগ্রিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে হবে।
এছাড়াও কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত এবং কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?