'ধিক্কার ধিক্কার, প্রশাসন ধিক্কার' স্লোগানে মুখরিত বাকৃবি
ময়মনসিংহ, ১৫ জুলাই (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাধ্যতামূলক হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রচারের সাথে সাথে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
ঘোষণার প্রতিবাদে এবং ওই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার বিকেল ৩টা থেকে আন্দোলন করছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দাবি আদায়ে উপাচার্যের বাসভবনে তালা দেন তারা।
আন্দোলন চলাকালীন 'ধিক্কার ধিক্কার, প্রশাসন ধিক্কার'; 'হল ছাড়ার নির্দেশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই'; 'আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই'; 'হল বন্ধ করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না' সহ নানা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন বাকৃবি উপাচার্যকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসেন উপাচার্য এবং প্রশাসনিক অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে উপাচার্য বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিবেন। সেখানে হয়ত আশানুরূপ একটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। তখন হয়ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর নাও থাকতে পারে। তাই আমি শান্ত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপাচার্যের এমন মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের জন্য উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না এসং বাসভবনের ভিতরের কাউকে বের হতে দিবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ক্যাম্পাসে কোন পুলিশ ঢুকতে দিব না, যদি পুলিশ ঢোকে, তার আগেই আমি পদত্যাগ করবো।
এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে সারাদেশে আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রতিবাদ মিছিলে নামেন আন্দোলনকারীরা।
What's Your Reaction?