‘৫ আগস্টের আগেই গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্ট দৃশ্যমান হবে’
 
                                    ময়মনসিংহ, ১৬ জুলাই (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, ‘বাকৃবিতে গঠিত গণতদন্ত কমিশনের সুপারিশ সিন্ডিকেটে উত্থাপিত হয়েছিল। সিন্ডিকেটে সুপারিশ সম্পূর্ণভাবে সমর্থিত হয়েছে। এর অ্যাকশন আপনারা ৫ আগস্টের আগে দেখতে পাবেন, এমনকি দুই-তিনদিনের মধ্যেও দেখতে পেতে পারেন। ৫ আগস্টের আগে শীঘ্রই তা দৃশ্যমান হবে। বাকৃবিতে সংঘটিত সকল অন্যায়ের বিচার হবে। বিশেষ করে আমি যতদিন দায়িত্বে আছি, বিচার করেই যাবো।'
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ‘জুলাই আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শনী, মুক্তলোচনা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমাদের একটি শোকের দিন। আমরা আপনাদের ভুলিনি, সারাজীবন এই দেশ আপনাদের স্মরণ করবে। বাকৃবিতে আন্দোলন হয়নি এটা পরিপূর্ণভাবে সত্য নয়। এখানকার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ঘুমিয়ে থাকেনি। আমরা রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড বাড়ানোর জন্য আমরা আবেদন করব। শিক্ষার্থীদের হেলথ ইনস্যুরেন্সের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিবো। সাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য শোকজ যাচ্ছে, আপনারা নিশ্চিত থাকুন দোষীদের শাস্তি হবে।’
এর আগে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালিয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এসময়ে র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
র্যালি শেষে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে জুলাই আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শনী, মুক্তলোচনা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালনায় জুলাই আন্দোলনের উপর তিনটি ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শিত হয়। এরপর গণঅভ্যুত্থানে ময়মনসিংহ অঞ্চলের শহীদ রেদোয়ান হোসেন সাগরের পিতা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, শহীদ মাওলানা সাদেকুর রহমানের ভাই মো. সাদ্দাম হোসেন এবং শহীদ আছির এম টি শারাল হকের পিতা এইচ.এম. এনামুল হকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
পরে মুক্ত আলোচনায় স্মৃতিচারণ করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বাকৃবির বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ তাদের জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি এবং আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
What's Your Reaction?
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
                    
                
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 
                                                                                                                                             
                                                                                                                                             
                                                                                                                                            

 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            