শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাকৃবিতে নিষিদ্ধ হলো রাজনীতি
ময়মনসিংহ, ২৯ আগস্ট (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠেয় সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না থাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাতেই আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকৃবিতে সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে মধ্যরাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
জানা যায়, সিন্ডিকেট সভায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাকৃবিতে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে বাকৃবির রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। এরপর তারা একত্রিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এসময় দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। আড়াই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকৃবিতে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী ০১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ও পিএইচডি ডরমেটরি আগামী ৩১ শে আগস্ট খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে হল প্রশাসন কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে এবং অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ডিন কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত সমন্বিত নীতিমালা মেনে চলারও নির্দেশ দেয়া হয়।
What's Your Reaction?