বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অবস্থানে আইরিশ পাসপোর্ট

মো: সাখাওয়াৎ হোসেন (সাখাওয়াৎ লিটন)
কর ও অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা ‘নোমাড ক্যাপিটালিস্ট’ এর হালনাগাদ সূচকে সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অবস্থানে উঠে এসেছে আইরিশ পাসপোর্ট। ফলে অবস্থানের দিক দিয়ে আরো শক্তিশালি হলো ইউরোপের অন্যতম ধনী দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট।
সস্প্রতি পাসপোর্টের বৈশ্বিক মানের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে ‘নোমাড ক্যাপিটালিস্ট’।সে তালিকায় শীর্ষে থাকা আয়ারল্যান্ডের প্রাপ্ত স্কোর ১০৯। এর ফলে এখন থেকে আইরিশ পাসপোর্টধারী নাগরিক বিশ্বের ১৯২টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে, তালিকায় ৩৮ স্কোর পেয়ে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১৮১তম। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ৫০টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বিশ্বের ২০০টি দেশের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা, বিদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের ওপর নির্ধারিত কর, দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতাসহ পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই পাসপোর্ট সূচক তৈরি করে নোমাড ক্যাপিটালিস্ট।
নোমাডের এ তালিকায় বাংলাদেশের ঠিক আগে রয়েছে নেপাল এবং পরে আছে মিয়ানমার। অপর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান সূচকে ১৪৮তম এবং পাকিস্তান ১৯৫তম।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে নোমাডের পাসপোর্ট সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তকমা পেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। হালনাগাদ তালিকায় ১০৬ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের এ দেশটি।
যে সব কারণে আইরিশ পাসপোর্ট শক্তিশালী হলো :
আইরিশ নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশে সহজেই ভ্রমণ করতে পারেন। এর ফলে তাদের বৈশ্বিক চলাচলের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের নাগরিকরা একমাত্র জাতি, যাদের ব্রেক্সিটের পরেও যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে কাজ ও বসবাস করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এটি ইউরোপে চাকরি, শিক্ষা ও বিনিয়োগের সুযোগকে আরো সহজ করে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ও কূটনৈতিক মর্যাদার কারণও এ প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করেছে। আয়ারল্যান্ডের নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি, শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক দেশটির পাসপোর্টকে বিশ্বব্যাপী শক্ত গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৫ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানির উপর ২০% শুল্ক আরোপ করেন, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড়ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
এ ধরনের সুরক্ষাবাদী নীতির ফলে আইরিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকানরা, অধিক স্থিতিশীল ও শক্তিশালী পাসপোর্টের সন্ধান করতে শুরু করেন। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৮,৫০০-এর বেশি মানুষ আইরিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। যার কারণে আইরিশ পাসপোর্ট এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তাদের রাংকিংও বেড়ে গেছে।
What's Your Reaction?






