যুক্তরাজ্যে যেতে পরকিয়ার আশ্রয়

Mar 22, 2024 - 21:39
 0  84
যুক্তরাজ্যে যেতে পরকিয়ার আশ্রয়
ছবিঃ প্রতিনিধি/ওভি

ঢাকা, ২২ মার্চ (বিশেষ প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – যুক্তরাজ্যে বসবাসকারি বাংলাদেশি নাগরিক সুমাইয়া আক্তারের স্বামী ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে যুক্তরাজ্যে যেতে চান দুই সন্তানের জননী ফারজানা আক্তার রুপা।

জানা যায়, ফারজানা আক্তার রুপা প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনটি সংসার করেন। সেই সকল সংসারে ২৩ বছর বয়সের একজন মেয়ে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। রুপা যুক্তরাজ্যে যেতে যোগাযোগ করেন যুক্তরাজ্যের সিটিজেন সিলেটের ছেলে ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে। চলতি বছরের জানুয়ারীতে দেশে এসে ফয়সাল থাকছেন রুপার বাসাতেই। ফয়সালও এই নারীর কাছ থেকে বিপুল পরিমানে টাকা নিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিতে যাচ্ছেন লন্ডনে। খবর শুনে পাগল প্রায় হয়ে গেছেন স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার। লেখা পড়ার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্তেও বাংলাদেশে আসতে পারছেন না স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার। যোগাযোগ করলে নানাভাবে হুমকী ও আপত্তিকর কথা বলেন পরকিয়া প্রেমিক দু সন্তানের জননী রুপা।

এছাড়া পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার নূরবক্স লেন এলাকায় খবর নিলে এলাকাবাসি জানায়, ফারজানা আক্তার রুপা এর আগে অন্তত তিনটি বিয়ে করেছেন। যেখানে দুটি সন্তান সাথেই থাকছেন। মহিলার চরিত্র ভালো না তাই সমাজের লোকজন বেশি কথা বলে না। এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক থাকার কারণে কেউ কোন কথা বলার সাহস পায় না। যা ইচ্ছা তাই রুপা করে বেড়ায়।

ফয়সাল আহমেদের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, „ফয়সাল আহমেদের (৪২) সঙ্গে ২০১৯ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফয়সাল আহমেআমাকে নিয়ে যান যুক্তরাজ্যে। বিয়ের সময় নেওয়া হয় বিপুল পরিমানের টাকা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আরও মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে আসছে ফয়সাল। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসার পর থেকে সে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, “আমাকে না জানিয়ে ফয়সাল আহমেদ বাংলাদেশে আসে। এ সময় খবর পেয়ে স্বামী ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন আমার বাসায় যা ফয়সাল। সেখানে ফয়সাল আমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে এবং বিশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে ২৪ জানুয়ারি আমি লন্ডনে ফিরে আসার সময় আমার বাসায় গিয়ে বিশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে, তা না হলে আমাকে লন্ডনে আসতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। এমনকি তালাক দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া মারধরসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করলেও ফয়সাল কথা না শুনে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি লন্ডনে এসে শুনতে পেলাম আমার স্বামী বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত ফয়সাল আমার কাছে যৌতুক না পেয়ে পরকিয়া করে বেড়াচ্ছে। যোগাযোগ করে জানতে পারি ফয়সাল ফারজানা আক্তার রুপার বাসায়ই থাকছে।

সুমাইয়া জানান, “এটা শোনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। এরপর লন্ডনে আমি ফয়সাল আহমেদের বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হই। বাংলাদেশে পরকিয়ায় লিপ্ত রুপা আমাকে হোয়াসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি লন্ডনে থাকলেও বর্তমানে আমি মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছি, যা আমার পরাশোনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এমনকি আমি জীবন যুদ্ধে ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বসে ফয়সালের পরকিয়া প্রেমিকা অনলাইনে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে আর ফয়সাল কোন প্রকার খোঁজখবর রাখে না।

এ বিষয়ে ফয়সাল এবং রুপার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online