বাকৃবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা দোকানির, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ময়মনসিংহ, ১৭ মে (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক দোকানির বিরুদ্ধে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন পোল্ট্রি মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, অভিযুক্ত দোকানির নাম মাসুদ রানা। ভুক্তভোগী দুইজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র এবং ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাইফ আরমান এবং আনাস তালুকদার।
এ ঘটনায় রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা `আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই', `বহিরাগত অস্ত্র হাতে, প্রশাসন কী করে?'—সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সাইফ আরমান বলেন, আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে পোল্ট্রির মোড়ের এক চায়ের দোকানে খাবার বিল দেয়া নিয়ে দোকানি আমার সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। ৪৩ টাকা বিল হয়েছে ৩ টাকা কম দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে দোকানি আমাকে ধাক্কা মারে। বলে যে তোর মতো কাস্টমার আমি খাওয়াই না, বলে টাকা ছুঁড়ে মারে। তারপর আনাস ফেরাতে আসলে তাকে সহ আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার জন্য তেড়ে আসে। এরপর কোন মতে স্থানীয় লোকজন দোকানিকে থামিয়ে শান্ত করেন। তারপর এলাকার মানুষও আসে ঘটনাস্থলে এবং ঝামেলার সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, প্রক্টর স্যারকে ১৫-২০ বার কল দেওয়ার পর স্যার কল ধরেন এবং কাহিনী শোনার পর বলেন যে লোক পাঠাচ্ছি। প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা পরে স্থানীয় মানুষ এবং আমাদের হলের ভাইদের সহায়তায় আমরা ওই দোকানির থেকে লিখিত নিয়ে ঘটনার মিটমাট করায়। শেষে যখন আমরা সবাই হলে ফিরে আসতে ছিলাম তখন প্রক্টরিয়াল বডির গাড়ি আসে এবং আমাদের সাথে খামার এলাকায় সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান মজুমদারের সাথে দেখা হয়।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান মজুমদার বলেন, প্রক্টর স্যার আমাকে যখন জানিয়েছেন আমরা তখনই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে যেয়ে আমরা কাউকে পাইনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, আমাকে ছাত্ররা কল করেন ৫টা ২১ মিনিটে এবং আমি কল ব্যাক করি ৫ টা ৩৬ মিনিটে। তাদের থেকে ঘটনা শোনার পরেই আমি প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিই। পরে প্রক্টরিয়াল বডির তৎপরতায় ওই দোকান বন্ধ করা হয়েছে।
What's Your Reaction?






