বাকু জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের উদ্বেগ ও চাহিদা পেশ
বাকু, নভেম্বর ১৩ (বিশেষ প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) - আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ দেশের কার্বন নির্গমন সম্পর্কে "পশ্চিমা জাল খবরের" সমালোচনা করে বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানী মজুদ থাকার জন্য দেশগুলিকে "দায়ী করা উচিত নয়"। দেশটি আগামী এক দশকে গ্যাস উৎপাদন এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনে বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার দ্বিগুণ করা অযৌক্তিক। তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্ন জ্বালানী বিপ্লব এসে গেছে এবং এটিকে কোন সরকার থামাতে পারবে না।
আলাদাভাবে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার কার্বন নির্গমন আরও কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্য এখন ২০৩৫ সালের মধ্যে ৮১% হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যুক্তরাজ্য অন্যান্য দেশকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা মেলানোর আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, জলবায়ু সংকটে চরম ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের চাহিদা বছরে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার (১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা)। বছরের পর বছর বাংলাদেশকে যে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা পূরণ ও পরিচ্ছন্ন শক্তি জোগানে এই অর্থ প্রয়োজন। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ ২৯–এর আসরে মঙ্গলবার এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, জলবায়ুর কারণে বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে ১২ বিলিয়ন ডলার। অথচ অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে ঋণ পাচ্ছে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার। এই ভয়ংকর অবস্থা ও তার নিরসনে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের কথাই তাঁরা বাকুতে তুলে ধরছেন।
প্রেস সচিব জানান, দেশের ২৯টি এনজিও ও নাগরিক সমাজের সংগঠনকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের এই ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরে আরও বেশি অর্থ সাহায্য পাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে। প্রধান উপদেষ্টা চান, সম্মেলন শেষে যে ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে, তাতে বাংলাদেশের উদ্বেগ ও চাহিদা যেন জায়গা পায়।
ইআরডিএ এর প্রদর্শনী বুথ
ইআরডিএ কপ ২৯, বাকু, আজারবাইজানে ৪১ নং বুথে ইআরডিএ এর কার্যক্রম প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে। রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত প্রকাশনা।
What's Your Reaction?