পবিপ্রবিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টার ঝটিকা সফর

জান্নাতীন নাঈম জীবন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ আগমন করলেন।
বুধবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম জানতে পারেন, উপদেষ্টা পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পরিদর্শন শেষে লেবুখালী হয়ে বরিশালের পথে রয়েছেন। এই খবর পেয়ে তিনি তাঁকে আমন্ত্রণ জানান, সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি উপস্থিত হন পবিপ্রবিতে।
উপাচার্যের সাথে উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতে উঠে আসে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান, গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্যাম্পাস সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রস্তাবনা। উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে যাওয়া ‘মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশেনোগ্রাফি’ বিভাগকে সময়োপযোগী এবং দক্ষিণাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি একাডেমিক ভবন, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, নির্মাণাধীন ১০ তলা ছাত্রীনিবাস, ছাত্রাবাস, ‘লাল কমল’ ও ‘নীল কমল’ লেক এবং চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লেকের পরিচর্যার জন্য গাইড ওয়াল নির্মাণের কথা বলেন। তাছাড়া যে কোন সময় শত শত গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা ভেঙে যেতে পারে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যাহত হবে। এ অবস্থায় ইউজিসির মাধ্যমে জরুরি অর্থ বরাদ্দের জন্য তিনি উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি অপূর্ব একটি মুহূর্ত ছিল। এমন একজন মনীষীর পদচারণা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তিনি যেভাবে মনোযোগ দিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলেন এবং পরামর্শ দিলেন, তা আমাদের আগামী পথচলাকে করবে আরও দৃঢ় ও উদ্যমী।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এই অঞ্চল শিক্ষার বিস্তারে এক সম্ভাবনার ভাণ্ডার। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি অভিভূত। এখানে উচ্চশিক্ষার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রান্তিক বলেই কেউ পিছিয়ে থাকবে না এই বিশ্বাস থেকেই আমাদের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
What's Your Reaction?






