গোপালগঞ্জের তৌহিদুলকে পিআরও বানাতে মরিয়া দুর্নীতিবাজরা
ঢাকা, ১২ আগস্ট (বিশেষ প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – গোপালগঞ্জের গাজী তৌহিদুল ইসলামকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পিআরও নিয়োগ দিতে মরিয়া অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক খাতের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট।
এই সিন্ডিকেট তাদের দুর্নীতির তথ্য আড়াল করতে গোপালগঞ্জের গাজী তৌহিদুল ইসলামকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিনের পিআরও হিসেবে নিয়োগ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে অর্থ মন্রণালয়ের সাবেক দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারের গডফাদার সাবেক অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পদায়নকৃত কর্মকর্তারা। এ লক্ষ্যে অর্থ উপদেষ্টার দ্বিতীয় কার্যদিবসে তড়িঘড়ি করে সাদা কাগজে ডিও লেটার স্বাক্ষর করে নিয়েছে।
গাজী তৌহিদুল ইসলামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। সে বাংলদেশ বেতারের অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা। ২০১৮ সালে গোপালগঞ্জ বাড়ি ও ছাত্র লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস উইং এর ক্ষমতা ব্যবহার করে আ হ ম মোস্তফা কামাল পরিকল্পনা মন্ত্রী থাকা কালে তার পিআরও হিসেবে যোগাদান করে। এর পর আ হ ম মোস্তফা কামাল ২০১৯ সালে অর্থ মন্ত্রী হয়ে আসলে তার পিআরও হিসেবে আর্থিক খাতের দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে আসা ঠেকাতে দায়িত্ব পালন করে দুর্নিতীবাজ গাজী তৌহিদুল ইসলাম। লোটাস কামালের পুরো পাঁচ বছর অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক খাতের সকল দুর্নীতির চিত্র যেন মিডিয়ায় না আসে সেজন্য লোটাস কামাল ২০২৪ সালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার গঠন করলে অর্থ মন্ত্রী আবুল হাসনা মাহমুদ আলীকে গাজী তৌহিদুলকে পিআরও হিসেবে রাখার জন্য সুপারিশ করে। লোটাস কামালের সময়ে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, সাতটি ব্যাংক দখল ও হাজার হাজার কোটি টাকার বেনামি ঋণ কেলেঙ্কারি ও রাজস্ব বোর্ডের কর ফাকির সহযোগী ছিল এই গাজী তৌহিদুল। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় গাজী তৌহিদুল ইসলাম নামে বেনামে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি সম্পদ গড়ে তুলেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরচারী শেখ হাসিনার পতন হয় ৫ আগস্ট। আট আগস্ট মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট অফিস ও তথ্য দপ্তরে ফেরত পাঠায়। এরপর আগের সরকারের দুর্নিতীবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ভোল পাল্টে গাজী তৌহিদুল অন্তর্বতীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দীনের পিআরও হওয়ার জন্য ডিও লেটার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে জমা দিয়েছে।
এরকম একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ প্রদান করলে সরকারের যে উদ্দেশ্য, তা ব্যাহত হবে বলে সচেতন মহল মনে করছে।
What's Your Reaction?