২৬শে মে কমিউনিটি ক্লিনিং এ অংশ নিবেন ফেডারেল এমপি রোজেনথাল

বন, ৩০ এপ্রিল (আওয়ার ভয়েস) - ২০২১ সাল থেকে জার্মানির বন নগরীতে কমিউনিটি ক্লিনিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বেশ কিছু বাংলাদেশী সমাজসেবী সংগঠন। প্রত্যেক মাসের শেষ রবিবার ডুইসডর্ফ এলাকায় এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাসুগ ডায়াস্পোরা এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, হাউস অফ ইন্টেগ্রেশন, জার্মান-বাংলাদেশ সমিতি কোলন-বন, সীমান্ত, এবং আওয়ার ভয়েস অনলাইনের সহযোগিতায় সেরাজি ফাউন্ডেশন। এই কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে এবং প্রতিবেশীদের মাঝে এব্যাপারে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করতে ২৬শে মে রবিবার কমিউনিটি ক্লিনিং-এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বন থেকে নির্বাচিত জার্মান ফেডারেল সংসদের সদস্য জেসিকা রোজেনথাল।

রবিবার প্রথমবারের মতো ৮ বছর বয়সী মেয়েকে সাথে নিয়ে এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন সুমাইয়া আলম স্বর্ণা। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের শেষে তাঁর অভিব্যক্তি, এমন চমৎকার অভিজ্ঞতা শিশুদের উপর বিশেষভাবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। কারণ তারা যখন কোথাও আবর্জনা ফেলতে যাবে, তখন তাদের সবসময় মনে পড়বে আজকের এই স্মৃতি এবং ফলে তারা অন্যদের মতো যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে, ঠিক নির্ধারিত ডাস্টবিনেই সেটি ফেলবে। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, সকল নাগরিকের উচিত তাদের শিশুদের এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে এমন ভাল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।

রবিবার প্রথমবারের মতো এই সামাজিক ও পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমে অংশ নেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসা তাবাসসুম। এব্যাপারে তিনি বলেন, “কাজটি আমাদের নিজেদের এবং অন্যদের জন্য সচেতনতার প্রতীক ছিল, যাতে আমরা পরিবেশ দূষণের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে পারি। আমরা প্রধানত প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছি, কারণ সেগুলি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং মাটিতে দ্রবীভূত হয় না। পরিবেশের প্লাস্টিক বর্জ্য শেষ পর্যন্ত জলাশয়ে গিয়ে মিশে এবং মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের পেটে স্থান পায়, যা পরবর্তীতে খাবারের সাথে আমাদের দেহে মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে প্রবেশ করে। অথচ এই মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের শরীরে বিভিন্ন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ। সুতরাং, অদূর ভবিষ্যতে এই সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি লোক অংশ নিবে এমনটিই কাম্য, যাতে আমরা নিজেদের জন্য আরও ভাল পরিবেশ তৈরি করতে পারি।”

এই কার্যক্রমের সংগঠকরা জানিয়েছেন, বন থেকে নির্বাচিত জার্মান ফেডারেল সংসদের সদস্য জেসিকা রোজেনথাল ২৬শে মে ডুইসডর্ফে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যোগ দেবেন। একই অনুষ্ঠানে তিনজন স্বেচ্ছাসেবক সদস্যকে গত তিন বছরে কমিউনিটি ক্লিনিং কার্যক্রমে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ পদক দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বন নগরীর পরিচ্ছন্নতা দপ্তর বনঅরেঞ্জ প্রায় দুই বছর যাবত কমলা রঙের ব্যাগ ও হাতমোজা সরবরাহ এবং সংগৃহীত আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করে আসছে।