শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাকে ‘মুরগী চুরি’র সাথে তুলনা অফিসার্স এসোসিয়েশনের
জান্নাতীন নাঈম জীবন, পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে মুরগী চুরির সাথে তুলনা করলো বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার অফিসার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াজকুরুনি বলেন, ‘মুরগী চুরির মত ঘটনায় শিক্ষকদের এভাবে বিচার দাবি করা কোনভাবেই কাম্য নয়, তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন তার বিচার করবে, তবে যদি অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয় আমরাও কর্মসূচী হাতে নিতে জানি।
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কর্মকর্তারা যদি শিক্ষার্থীদের ফাইল না ছাড়ে তবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হবে, যদি এভাবে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে আন্দোলন করে তবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মানববন্ধনে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যে ব্যবস্থা নেবে তা মেনে নেওয়া হবে, তবে কিছু হলেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখে, এতে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্নতায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলের চাকুরিচ্যুতের দাবিতে আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে রাসেলের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। এসময় তাদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে রাসেলের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন করতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত ১৭ ফেব্রুয়ারী রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তারপরই রাসেলের চাকুরিচ্যুতের দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
What's Your Reaction?