‘বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’পেলেন নড়াইলের সতেজ

Jan 27, 2025 - 04:51
 0  4
‘বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’পেলেন নড়াইলের সতেজ
ছবিঃ প্রতিনিধি/ওভি

ফরহাদ খান, নড়াইল
বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’- ২০২৪ পেলেন নড়াইলের মির্জা গালিব সতেজ।

তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন' এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা কালীন সময়ে ২০১৭ সাল থেকে ছিন্নমূল শিশু এবং বেদে সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়মূলক ও দাতব্য সংস্থা ভলান্টিয়ারি সার্ভিস ওভারসিজের (ভিএসও বাংলাদেশ) বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৪পুরস্কার পেয়েছেন সতেজ।
ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে শনিবার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সতেজকে এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ভিক্টোরিয়া জুবলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা খাতুন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গার  উপ-পরিচালক ফিরোজ আহমেদ, ভিক্টোরিয়া জুবলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, যুব ফোরাম খুলনা বিভাগের সভাপতি আসাদুজ্জামান লিমন, যুব ফোরাম রংপুর বিভাগের সভাপতি জামাল উদ্দিনসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মির্জা গালিব সতেজসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সমাজসেবায় অবদান রাখায় সতেজ বিভাগীয় পর্যায়ে পঞ্চম এবং নড়াইল জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। সতেজের এই সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের সদস্যরাও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মির্জা গালিব সতেজ বলেন, কাজের স্বীকৃতি আরো দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দেয়। ভালো কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়। ভবিষ্যতে সমাজসেবায় আরো অবদান রাখতে পারব বলে আশা করছি। এর আগেও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছি।
স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণসহ আনন্দ অনুষ্ঠান করে থাকে। বেদে সম্প্রদায়ের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও কাজ করছে সংগঠনটি।
ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, পড়ালেখার টাকা জমিয়ে এবং পারিবারিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসব কাজ করেন তারা। এছাড়া বন্যাদুর্গতদের সাহায্য এবং করোনাকালীন অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে সবজি বাজার, গরিব কৃষকের ধান কর্তন, চিকিৎসাসেবা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় ইফতার বিতরণ, ঈদে ছিন্নমূল ও বেদে সম্প্রদায়ের শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক উপহার দেয়াসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তারা। সংগঠনে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৪৫ জন। এদের বেশির ভাগই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online