বাকৃবিতে এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াডের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
ময়মনসিংহ, ৩১ মে (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড (বিএও) সিজন-৩’ এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা এবং তাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শুক্রবার দিনব্যাপী চূড়ান্ত পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এছাড়া বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) কারিগরি সহায়তা সমন্বয়কারী ড. ইমানুন নবী খান, বিএও’এর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: রমিজ উদ্দিন। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় ২৫০ জনের অধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে এগ্রিকালচার, এগ্রিকালচারাল ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, অ্যানিমেল প্রডাকশান, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স, অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড বায়োসিকিউরিটি, ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন, এগ্রিবিজনেস অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স এবং ফিশারিজসহ মোট আটটি ক্যাটাগরির ওপরে ২৭ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি ক্যাটাগরিতে ৩ জন করে মোট ২৪ জনকে এবং সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে সার্টিফিকেট, মেডেল, বই ও গিফট বক্স দেওয়া হয়।
এসময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এগ্রিকালচার অলিম্পিয়াডের ফাইনাল বাকৃবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা যা কিছুই করি সেটা টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়া উচিৎ। একই সাথে আমাদের পরিবেশ টেকসই রাখা উচিৎ। আমরা আমাদের পরিবেশ হতে অক্সিজেন গ্রহণ করি, যেটা উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন হয়, তা কৃষিরই অংশ।
উল্লেখ্য, ৫ এপ্রিল ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন-৩ এর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল থেকে ০৭ মে পর্যন্ত চলে ২য় ধাপের কেইস সলভিং এবং সর্বশেষ সমাপনী কুইজ প্রতিযোগিতা।
What's Your Reaction?