বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে বাকৃবিতে রেলপথ অবরোধ

Jul 8, 2024 - 20:08
 0  132
বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে বাকৃবিতে রেলপথ অবরোধ
ছবিঃ প্রতিনিধি/ওভি

ময়মনসিংহ, জুলাই (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলন চলছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)।

সোমবার বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের শুনানি মুলতবি করে রাখায় দুর্বার আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বাকৃবি শিক্ষার্থীরা। দেশব্যাপী বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে আজকে ৩য় দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থিত রেললাইনে চলমান ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

'সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে' এই এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। দুপুর বারোটায় মুক্তমঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট এবং পরে সেখান থেকে মুক্তমঞ্চ হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে যায়। ওই সময় ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে আসতে থাকলে ওই চলমান ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এক ঘন্টা ৪০ মিনিট (দুপুর ১.৩০ থেকে বিকেল ৩টা ১০) অবরোধ করে রাখার পরে ট্রেনটি ছাড়া হয়।

অবরোধ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী নিশাত আনজুম মিথিলা বলেন, একটি দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোটা পদ্ধতির অবশ্যই দরকার আছে। প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বঞ্চিত শ্রেণি রয়েছে যাদর কোটার প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মুক্তিোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত কোটা বর্ধিতকরণ করা হয়েছে সেটা অত্যন্ত বর্বর এবং বৈষম্যমূলক। তাই আমরা চাই, সরকারি চাকরিতে যে বিভিন্ন মাত্রায় কোটা বৈষম্য রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে যৌক্তিক মাত্রায় আনতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আব্দুল্লা আল মুন্না বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শহীদদের প্রাণের পাশাপাশি মা-বোনদের সম্ভ্রমও আমরা হারিয়েছি। কোটা দিতে হলে সেই মা-বোনদের প্রজন্মকেও কোটা দিতে হবে, যা বর্তমানে কিছুতেই সম্ভব না। হাইকোর্ট যদি বৈষম্যমূলক এই কোটা বাতিলের রায় না দেয় তাহলে ছাত্রসমাজ পড়ার টেবিলে ফিরবে না। রাজপথ থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।'

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online