মন্দিরের জমি দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন

Jan 5, 2025 - 21:54
 0  10
মন্দিরের জমি দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন
ছবিঃ প্রতিনিধি/ওভি

ফরহাদ খান, নড়াইল
জাল দলিলের মাধ্যমে নড়াইল সদর উপজেলার দেড়শত বছরের ঐহিত্যবাহী টেংরাখালি হাজরাতলা মন্দিরের জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে রোববার এলাকাবাসীর আয়োজনে মন্দির চত্বরে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাজরাতলা মন্দির কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নড়াইল জেলা কমিটির আহ্বায়ক কল্যাণ মুখার্জি।
এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার, স্থানীয় বিএনপি নেতা ওমর ফারুক, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন মোল্যা, বিছালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, ইউপি সদস্য মুশফিকুর রহমান, উৎপলেন্দু বিশ্বাস, রজত শুভ্র মলি­কসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, মন্দিরের কোন জায়গা-জমি কেউ দখল করে নিবে; সেটা আমরা মেনে নেবো না। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই। আশা করছি টেংরাখালি হাজরাতলা মন্দিরের জায়গা দখলের অপচেষ্টা দ্রুত সমাধান হবে। আমরা সব ধর্মের লোক এবং রাজনৈতিক নেতারা কোন জমি দখলের চেষ্টা মেনে নেবো না।  
মন্দির কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাস জানান, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়গাতী-বড়কুলা মৌজার খাস খতিয়ানভূক্ত ৮৬৮ দাগে মোট জমির পরিমাণ ৪ দশমিক ২৪ একর। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ভূমিহীন গোলক চন্দ্র সিকদারকে এক দশমিক ১৬ একর জমি বন্দোবস্ত দেন। বাকি জমি মন্দির কমিটি ভোগ দখল করে আসছেন। আমাদের অজান্তে এলাকার বাবু রাম রায় নামে জনৈক ব্যক্তি জমিদারদের কাছ থেকে দাখিলা মূলে জমি খরিদ করেন এই মর্মে দাবি করে দখল নিতে যান। তখন এলাকার মানুষ বাধা দেন। পরে বিমল কৃঞ্চ মলি­ক বাদী হয়ে সরকার পক্ষে মামলা করেন। মামলায় বাবু রাম হেরে যান। বাবু রাম রায়ের জীবদ্দশায় তার কাকাতো ভাই শরৎ চন্দ্র রায় পাশের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের ফসিয়ার শেখ ও হালিম শেখকে ওই জমি লিখে দেন। তারা মামলায় হেরে গেলে উচ্চাদালতে (হাইকোর্ট) আপিল করেন। আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online