ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন শিক্ষক

May 6, 2024 - 04:50
 0  33
ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন শিক্ষক
ছবি- প্রতিনিধি/ওভি

ময়মনসিংহ, মে (বাকৃবি প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলাম।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানানো হলে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম। পুরো ঘটনাটিই স্বীকার করেছেন ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কৃষি অনুষদের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ও শেখ রোজী জামাল হলের আবাসিক ওই শিক্ষার্থী।

এসময় তৎক্ষণাৎ ওই শিক্ষার্থীর হলে গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি রোজী জামাল হলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে ওই শিক্ষার্থীর অনৈতিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করেন ওই শিক্ষার্থী। এসময় প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন ওই শিক্ষার্থী।

স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচিত হন ওই শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন যে ওই শিক্ষক তাঁদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের শিক্ষক। মেসেঞ্জারে আলাপের মাধ্যমে ওই শিক্ষকের সাথে তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক বিবাহিত এই বিষয়টিও জানতেন ওই শিক্ষার্থী। বিবাহিত হওয়ার পরেও ওই ছাত্রীর সাথে নিজের গাড়িতে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন বলেও স্বীকারোক্তিতে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেন নি।

ঘটনার বিষয়ে সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারলে আমি তৎক্ষণাৎ রোজী জামাল হলে চলে আসি। ওই ছাত্রী ঘটনার ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কোনোরকম তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে, দুদিন আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় প্রায় ১০টি ঘুমের ঔষধ খেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এমতাবস্থায় তাকে হলে রাখা বিপদজনক বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রুখসানা আমিন রুনা। ওই শিক্ষার্থীর স্থানীয়ভিভাবকদের ডেকে তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান হল প্রভোস্ট।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেন নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

News Desk Chief Editor, Our Voice Online