প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

রাজশাহী, ২৭ জুন (বিশেষ প্রতিনিধি/আওয়ার ভয়েস): রাজশাহীতে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

‘দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করবো খাঁটি’ স্লোগানে শুক্রবার বড়বনগ্রাম এলাকায় পালিত হয় উক্ত কর্মসূচী। এসময় নিম, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি গাছের চারা রোপণ করা হয়। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদের নেতৃত্বে সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ রমজান আলী সরকার সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী ও সদস্যবৃন্দ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর সমাপনী পর্বে বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে মানুষের একমাত্র নিঃস্বার্থ, প্রকৃত ও উপকারী বন্ধু হলো বৃক্ষ। বৃক্ষকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাসহ নৈসর্গিক শোভাবর্ধনে বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবেশ দূষণ রোধ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে গাছ সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখে থাকে। অথচ অপরিকল্পিত নগরায়ণ, উন্নয়ন আর যন্ত্র-প্রযুক্তির মোহে অযাচিতভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে, উজাড় হচ্ছে বন। ফলে দেখা দিচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বাড়ছে উষ্ণায়ন আর মানবসভ্যতা পড়ছে হুমকির মুখে। দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের মতো সামাজিক আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে। শুধু জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান বা বৃক্ষমেলার সময় নয়, নিজ নিজ উদ্যোগে প্রত্যেক সচেতন মানুষকে সময়-সুযোগ বুঝে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে হতে হবে বৃক্ষপ্রেমিক। বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বৃক্ষরোপণ করলে সেটা ভালো কাজ দেবে। যেমন সেটা হতে পারে প্রত্যেক ব্যক্তির নিজ নিজ জন্মদিনে, সন্তানের জন্মদিনে, সন্তানের প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিন, বিবাহ বার্ষিকীতে, বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দিনে বা অন্য কোনো বিশেষ কারণে।

বক্তারা আরও বলেন, বছর দশেক পূর্বেও রাজশাহী-নওগাঁ রোডে রাস্তার দুপাশে ছায়া সুশীতল অনেক বড় বড় বৃক্ষরাজি ছিলো। কিন্তু রাস্তার কাজের সময় সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হলেও অদ্যাবধি পুনরায় সুপরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানোর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।